দাঁত শিরশির কেন করে এবং করলে কি করবেন?
কমবেশি অনেকের মধ্যেই দাঁত শিরশির নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। এতে খাবার গ্রহণ বা তরলজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঠান্ডা কোনো খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে, যদি দাঁতে সমস্যা থাকে। তবে টক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের সময়ও একই ধরনের অনুভূতি হতে পারে। কারও দাঁতের সাদা অংশ এনামেল ক্ষয় হয়ে ডেন্টিন নামের অংশটি যখন বের হয়ে যায়, তখনই দাঁতে ঠান্ডা কিছু লাগলে শিরশির করে।
কারণ
- দাঁতের এনামেল ক্ষয়
- দাঁতে গর্তের সৃষ্টি
- অনেক দিনের পুরোনো ফিলিং
মাড়ি ক্ষয় হয়ে দাঁতের রুট বা গোড়া বের হয়ে গেলে, দাঁত আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় বা সঠিক সময়ে সঠিক কারণ নির্ধারণ করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।
দাঁতের শিরশির বন্ধে সঠিক যত্ন
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে কোনো জীবাণু তৈরি হতে পারবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাশতা করার পরে দাঁত ব্রাশ করুন নিয়মিত।
দাঁত ব্রাশ করার জন্য সেনসিটিভিটি রোধ করে—এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এমনটাই মত প্রায় ৯ শতাংশ ডেন্টিস্টের। তাঁরা মনে করেন, এমন টুথপেস্ট আপনার দাঁত শিরশিরের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেবে অনেকটা।
ব্রাশ করুন আস্তে আস্তে। দাঁতের ওপর চাপ দেবেন না। জোরে ব্রাশ করাটা দাঁতের শিরশির ভাব আরও বাড়িয়ে দেবে। হালকা কোমল ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে অনেকটা।
যেকোনো অ্যাসিটিক খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সচেতন হোন। যেমন: ফলের জুস, কোমল পানীয়—এসব দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে। তাই এসব পান করার পরই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলুন।
আপনার যদি নিয়মিত দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত চেপে রাখার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটা ত্যাগ করাই ভালো।
অনেকেই দাঁতের শিরশির করা অংশটি ব্রাশ করে না। কিন্তু এতে সমস্যা বেড়ে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
ডা. মোখলেছুর রহমান |
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল|
দাঁত ফেলতেও দরকার নানা সতর্কতা
দাঁত ফেলা যত সহজই মনে হোক না কেন, বিষয়টা কিন্তু অত ছোটখাটো নয়। এটাও এক ধরনের শল্যচিকিৎসা। তাই দাঁত ফেলতেও দরকার নানা সতর্কতা।
দাঁত ওঠানোর ক্ষেত্রে আটটি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন:
এক: দাঁত তুলতে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে তা যদি জীবাণুমুক্ত না থাকে তবে হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাস এমনকি এইডসের মতো রোগও ছড়াতে পারে। যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাই সেখানে-সেখানে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দাঁত ফেলবেন না।
দুই: ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক প্রভৃতি জটিলতা থাকলে রক্তে শর্করা, কিডনির ক্রিয়েটিনিন, রক্তচাপ ইত্যাদি দেখে নেওয়া উচিত।
তিন: ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে দাঁত তোলার আগে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। যাঁরা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল তাঁরা অবশ্যই দিনের প্রথম দিকে দাঁত তুলবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তারপর চিকিৎসা নিন।
চার: কী ধরনের ও কী কী ওষুধ খাচ্ছেন তা দন্তচিকিৎসককে জানান। যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ যেমন অ্যাসপিরিন বা ক্লপিডোগ্রেল জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকেন তবে দাঁত তোলার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিয়ে দাঁত ফেলার পাঁচ দিন আগে থেকে ওষুধগুলো খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
পাঁচ: ধূমপায়ী অথবা পানের সঙ্গে জর্দা ব্যবহারকারীরা অন্তত সাত দিন আগে থেকে ধূমপান, জর্দা, সাদাপাতা খাওয়া বন্ধ রাখবেন নয়তো পরবর্তী সময়ে ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হবে।
ছয়: হৃদ্রোগীদের ক্ষেত্রে অনুভূতিনাশকের সঙ্গে অ্যাড্রিন্যালিন ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ অনেক ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। এসব রোগীর ক্ষেত্রে দাঁতের যেকোনো শল্যচিকিৎসার আগে প্রয়োজনে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাত: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে সাবধানতা দরকার। এ ক্ষেত্রে পেনিসিলিন গ্রহণ করা নিরাপদ। ব্যথানাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওপিয়ড অথবা নন-স্টেরোইডেল অ্যান্টিইনফ্লামেটারি ব্যবহার করা যায়। তবে এসব ওষুধ প্রথম ও শেষ তিন মাসে নিরাপদ নয়।
আট: যাঁদের ইতিপূর্বে কোনো পরীক্ষা করা নেই এবং যাঁরা নিজেদের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি আছে কি lনেই জানেন না তাঁরা দাঁত তোলার আগে এসব রুটিন পরীক্ষা করে নিলেই ভালো।
|
দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল|
জেনে নিন দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মকানুন
আমাদের দিন শুরু ও শেষ হয় দাঁত ব্রাশ করা দিয়ে। অথচ অনেকেই হয়তো জানেন না দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মকানুন; বিশেষ করে আপনি নিজেই যদি না জেনে থাকেন, তবে বাড়ির শিশুটিকে শেখাতেও পারবেন না। আর সঠিক নিয়মে ব্রাশ না করলে লেগে থাকবে দাঁত ও মুখের নানা সমস্যা। তাই জেনে নিন কীভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
১: প্রথম কথা হচ্ছে টুথব্রাশ বাছাই করা। ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের ব্রাশ দরকার, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে।
২: পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। শিশুদের জন্য কম ঝাঁজাল টুথপেস্ট বেছে নিন।
৩: ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
৫: তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
৬ : দিনে কম পক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করুন।
যা করা উচিত নয়
৭: অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
৮:সামনে-পিছে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। ওপর-নিচে ব্রাশ করুন।
৯: টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো অভিভাবকের দায়িত্ব। দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
কীভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন?
১: ওপরের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ পৌঁছে দিন।
২: নিচের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ করুন।
৩: দাঁতের ওপরের অংশ
পেছনের দাঁতের ওপর-নিচ সবখানে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের বাইরের অংশ
এক প্রান্ত থেকে শুরু করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত অথবা ওপর থেকে নিচের দিকে ব্রাশ করুন।
ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে এক থেকে দুই মিনিট সময় নিন।
অল্প পরিমাণে ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং একটি ছোট ও নরম ব্রাশ বেছে নিন।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল।
দুর্ঘটনায় দাঁত হারালে কি করবেন ?
কখনো দুর্ঘটনায় মুখে আঘাত লাগতে পারে। তখন মুখের মধ্যে যা প্রথমেই ভাঙতে পারে, তা হলো দাঁত। কখনো উঁচু স্থান থেকে হঠাৎ পড়ে গিয়ে, রাস্তায় হোঁচট খেয়ে অথবা খেলাধুলা, মারামারি ইত্যাদি কারণে মুখ থেকে দাঁতটি সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসতে পারে। এই বেরিয়ে আসা বা পড়ে যাওয়া দাঁতও চমৎকারভাবে প্রতিস্থাপন করা যায়।
১. প্রাথমিক কাজ হচ্ছে, দুর্ঘটনায় পড়ে যাওয়া দাঁতটি তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করা। এ সময় দস্তানা (গ্লাভস) পরে নিতে হবে বা পরিষ্কার কিছু দিয়ে ধরতে হবে। দাঁতটি এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে দুধ অথবা লবণপানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। কোনো কিছু না পাওয়া গেলে ভাঙা দাঁতটি মুখের ভেতর রেখে দিলেও চলবে।
২. দ্বিতীয় পর্যায়ে দেরি না করে একজন দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
৩. চিকিৎসার প্রথম ধাপে পড়ে যাওয়া অংশ অথবা অনুপস্থিত দাঁতের অংশটির একটি এক্স-রে করা হয়। এক্স-রেতে যদি কোনো ভাঙা অংশ না থাকে, তবে পড়ে যাওয়া দাঁতটি যথাস্থানে বসিয়ে দেওয়া যাবে। তিন মাস পর্যন্ত দাঁতটি যথাস্থানে সিমেটিং করে রাখতে পারলে এটি আবার স্থায়ী ও কার্যকর হয়ে যেতে পারবে। তবে প্রতিবছর একবার এক্স-রে করে দেখা প্রয়োজন যে দাঁতের গোড়ায় কোনো প্রদাহ হচ্ছে কি না। প্রদাহ হলে রুট ক্যানেল চিকিৎসার পর মুকুট বা ক্রাউন পরানো প্রয়োজন।
দন্ত বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম হাসপাতাল।
মুখে ঘা মারাত্মক কোনো রোগ নয়
মুখের ভেতর ছোট ছোট দানা। ঝাল কোনো খাবার খেলেই যন্ত্রণা বেড়ে যায়। মনে হতে পারে, এটি কঠিন কোনো অসুখ। আসলে মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরণ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে ছোট ছোট দানার মতো ঘা দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু বারবার মুখে ঘা হলে এবং তা না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
চিকিৎসার পরও যদি মুখের ঘা দু-তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তখন এর সঠিক কারণ বের করার জন্য পরীক্ষা করাতে পারেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের দন্ত বিভাগের প্রধান হুমায়ুন কবির বলেন, সাধারণত অজান্তে মুখ বা জিবে কামড় পড়লে, শক্ত টুথব্রাশ বা সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, দাঁত ক্ষয়রোগ এবং মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলেই ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে। এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব, বিভিন্ন ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও ঘা হতে পারে।
যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হূদরোগ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাঁদের মুখে জীবাণু বিস্তার করে এমন ঘা হতে পারে। লিউকোমিয়া, লাইকেন প্লানাস ইত্যাদি কারণেও মুখে ঘা হতে পারে।
তবে সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে কারণে মুখে ঘা হয়, তাকে বলে অ্যাপথাস আলসার। জিব, মাড়ি ও মুখের ভেতর দিকে অনেকটা ব্রণের মতো দেখতে সাদা ফুসকুড়ি বের হয়। এটি বারবার হয়। বিশেষ কোনো ভিটামিনের স্বল্পতা, কোনো দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। তবে রক্ত পরীক্ষার পর জেনে নিতে হবে কী কারণে এ ধরনের ঘা হচ্ছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে সেরে যাবে।
কী করতে হবে:
# প্রচুর পানি পান করুন।
# লবণ-পানি দিয়ে বারবার কুলি করুন।
# মেডিকেটেড মাউথওয়াশ বা অ্যান্টিসেপটিক জেল ব্যবহার করতে পারেন।
# মাড়িতে প্লাক জমলে তা অবশ্যই স্কেলিং করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
# ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
# ভিটামিন ‘বি’-র স্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখ অপরিষ্কার, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
# নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
# ধূমপান, জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা।
# প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন।
মুখ ও জিবের পরিচ্ছন্নতা:
# প্রতিদিন দুবার অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করবেন
# দুই থেকে তিন মাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করবেন
# চিনি, চিনির তৈরি খাবার—যেমন মিষ্টি, চকলেট, জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আঠালো চকলেট আরও ক্ষতিকর।
# প্রতিদিন লবণ-পানি দিয়ে কুলি করার অভ্যাস ভালো।
# ধূমপান বন্ধ করুন। গুল-জর্দা বা তামাক ব্যবহার করবেন না।
# বছরে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।